এবার শিশুদের স্কুল জুতার জন্য গুনতে হবে বাড়তি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

আসছে নতুন বছর। নতুন বছরে নতুন ক্লাসে যাওয়া শুরু করবে কোমলমতি শিশুরা। কেউ কেউ স্কুল (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) পরিবর্তন করে যাবে অন্য স্কুলে। নতুন ক্লাস বা নতুন স্কুল যাই হোক তার জন্য নতুন স্কুলড্রেসের সঙ্গে লাগবে পায়ের নতুন জুতা। শিক্ষার্থীদের স্কুলের এই জুতার জন্য এবার অভিভাবকদের বাড়তি অর্থ গুনতে হবে। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্কুলের জুতা সাদা রঙের কেডস। এছাড়া বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে নির্ধারণ করা আছে কালো রঙের সু। মূলত এই দুই রঙের স্কুল জুতার প্রচল রয়েছে রাজধানীর স্কুলগুলোতে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানভেদে সাদা রঙের এক জোড়া কেডস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকা। কালো রঙের সু বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় এবার এক জোড়া জুতা ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মোজার। গত বছরের মতো এবারও মোজা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে।

এ বিষয়ে খিলগাঁও তালতলার ব্যবসায়ী মো. হৃদয় বলেন, এবার স্কুল কেডসের দাম একটু বেশি। গত বছর যে কেডস আমরা ৪৫০ টাকায় বিক্রি করেছি, এবার তার দাম ৫০০ টাকা। ভালো মানের কেডস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। গত বছর এই কেডস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছি।

স্কুল জুতার দাম বাড়ার তথ্য জানান মার্কেটটির আরেক ব্যবসায়ী ফিরোজ। তিনি বলেন, এখন বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। স্বাভাবিকভাবেই স্কুল জুতার দাম একটু বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ৫০-১০০ টাকা বেশি দামে জুতা বিক্রি হচ্ছে।

কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ড্রেস কোডে কালো রঙের সু রয়েছে। কালো রঙের স্কুল সু এবং মোজা বিক্রি করা রাজধানী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, স্কুল সু’র দাম মানের ওপর নির্ভর করে। মান অনুযায়ী স্কুল সু ৭০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করি আমরা।

রাজধানী সুপার মার্কেটে সাদা রঙের কেডস কিনতে আসা ফাহমিদা খাতুন নামের এক অভিভাবক বলেন, আমার একটি ছেলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এবার আরেক ছেলেকে নার্সারিতে ভর্তি করছি। ওই ছেলের জন্য কেডস কিনতে আসছি। গত বছর যে কেডস ৬০০ টাকায় কিনেছি, এবার সেই কেডসই ৭০০ টাকায় কিনতে হয়েছে।