এমটিএফই নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে বিভ্রান্ত মুলক সংবাদ প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

বৈশ্বিক ফরেক্স ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) গ্রুপের কোম্পানির কাস্টমার সার্ভিস এর মাধ্যমে নিগোগকৃত দুবাইয়ের সিইও (সারা বিশ্বে ১০০০ এরও বেশি সিইও রয়েছে কোম্পানির) এবং কুমিল্লার সন্তান মাসুদ আল ইসলাম এমটিএফই কর্তৃক দেশের হাজার হাজার গ্রাহকদের শত কোটি টাকা আত্মসাত সম্পর্কিত ঘটনায় তাকে জড়িয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
এক ভিডিও বার্তায় মাসুদ আল ইসলাম বলেন, এমটিএফই’র মাধ্যমে দেশের অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর যে শত কোটি টাকা আত্মসাত হয়েছে ,আমি তার নিন্দা জানাই এবং দু:খ প্রকাশ করছি। এবং প্রকৃত অপরাধীরা দ্রুত আইনের আওতায় পরুক এবং এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা হোক আমি এটা চাই। (আমি যাদের মাধ্যমে এমটিএফই এর তথ্য পেয়েছিলাম তাদের কাছ থেকে জেনেছি আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলতে)
কিন্তু প্রকৃত ঘটনা পাশ কাটিয়ে শুধু মাত্র আমাকে জড়িয়ে এবং বিচারের আগেই আমাকে অপরাধী সাব্যস্ত করা কোন ভাবেই আইনগত ভাবে তো নয়ই এমনকি নৈতিক ভাবেও তা অন্যায় । বিভিন্ন গণমাধ্যম মনগড়া ভাবে এক পেশে সংবাদ পরিবেশন করে আমাকে দেশের জনগণের কাছে একটি মহল হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে আমার সারা জীবনের অর্জিন ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।

বৈশ্বিক ফরেক্স ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) গ্রুপের দুবাইস্থ সিইও মাসুদ আল ইসলাম আরো জানান, বাংলাদেশে এবং দুবাই এমটিএফই’র কাস্টমার সার্ভিস এর মাধ্যমে নিয়োগকৃত (সিইও) রয়েছেন প্রায় ৪০০ জন। এই ৪০০ জনের মধ্যে আমি একজন মাত্র। আমি কোন ভাবেই এই কোম্পানি বা গ্রুপের মালিক না। বেতনভুক্ত একজন কর্মচারি মাত্র। যে ১১ হাজার কুটি টাকার গুজব উঠেছে তা হলো এমটিএফ’ই এর সারাবিশ্বের সকল ট্রাঞ্জেকশন (এরা প্রায় ১০০ টিরও বেশি দেশে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আওছিলো) যা ট্রন চেইন থেকে সংগ্রহীত, এমটিএফই গ্রুপের প্রকৃত মালিকানার কাগজপত্র দেখলেই তা জানা যাবে। এ বিষয়ে কানাডার এই কোম্পানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কোম্পানি আমার মত হাজারো মানুষকে সিইও বানিয়ে এভাবে ধোকা দিবে এই বিষয়ে আমি বুঝতে পারিনি (আমার সকল ইনকাম এবং লোন করা সকল টাকা এমটিএফই এর ওয়ালেটে পরে আছে যার কিছুই আমি উত্তলন করতে পারিনি, আমিও একজন ভূক্তভোগি)। কারণ, মালিক পক্ষ ছাড়া একজন সিইও’র পক্ষে এগুলো জানা কখনো সম্ভব না।
আরেকটি ভিডিও বার্তায় মাসুদ আল ইসলাম জোড় দিয়ে তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগকে মিথ্যা , ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও ভুয়া বলে দাবি করে তিনি বলেন, সবার মত আমিও এমটিএফই এর একজন গ্রাহক। আমি এটার সিইও পদে ছিলাম। এমনকি আমার গ্রামের বর্তমান ইউপি মেম্বার ৮ বছর আগে আমার ভাই (কোরআনে হাফেজ ) তার কিডনি জনিত সমস্যায় মারা যান তার ব্যপারে উদ্যেশ্য মূলক মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের পরিবারকে হেয়ো করার চেষ্টা করেছে।
আমি কখনোই কাউকে এমটিএফই তে জোর করে আনিনি। আমি কি করতাম কেউ জানতে চাইলে জানাতাম কেউ স্ব ইচ্ছায় ট্রেড করতে চাইলে সে করতো কিন্তু কাউকে অনুপ্রানিত করিনি বিনিয়োগের জন্য। আমি এমটিএফই এর সিইও হওয়ার আগেও বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্য দেশে আরও অনেক সিইও ছিল। আমি সিইও ছিলাম মানে যে আমি এর মালিক এটা নয়।
দয়া করে কেউ আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি এদেশেরই সন্তান। সমগ্র দেশবাসীর সাথে আমি এই ঘটনায় মর্মাহত এবং দু:খিত। যেহেতু এই গ্রুপের অনেক দেশের সিইও দের বা মেম্বারদের মাধ্যমে দেশে লিংক গিয়েছে তাই সকল মেম্বার আমার মাধ্যমেও হয়নি, তাই দেশবাসীর কাছে উক্ত ঘটনার তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান।

নিবেদক :
মোহাম্মেদ মাসুদ আল ইসলাম
বৈশ্বিক ফরেক্স ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) গ্রুপের একজন অফলাইন কাস্টমার সার্ভির ভিত্তিক (কাস্টমার সার্ভিস এর মাধ্যমে) নিয়োগকৃত সাধারন একজন সিইও।