কুমিল্লায় ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছে খাটিয়া ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

কেউ বলে খাটিয়া, কেউ বলে মুগুর আবার কেউ বলে গাদা। কোরবানির ঈদ আসলেই নজরে পরে এই মৌসুমী ব্যবসার। কোরবানির ঈদকে ঘিরে কুমিল্লায় মাংস কাটার খাটিয়ার কদর বেড়েছে বহুগুণ । প্রতি পিচ খাটিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। কুমিল্লা শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন খাটিয়া ব্যবসায়ীরা।
এসব দোকানে থরে থরে সাজানো মাংস কাটার খাটিয়া। তেঁতুল গাছের গোড়া দিয়ে বানানো গোলাকার এসব খাটিয়া কিনতে ছুটছেন মানুষ।
সোমবার (২৬জুন)সকালে সরেজমিনে কুমিল্লা নগরীর চকবাজার, রাজগঞ্জ, ট্রমছম ব্রীজ, রানীর বাজার, বালুতুপা সহ আরো অনেক এলাকা ঘুরে মাংস কাটার খাটিয়া বিক্রির দৃশ্য নজরে পড়ে। দেখা যার থরে থরে সাজানে খাটিয়া, খারি, হুগলা, বিক্রি করছে সিজনাল ব্যবসায়ীরা। প্রত্যেক দোকানে ক্রেতাও ছিলো চোখে পড়ার মতো।
চকবাজারে খাটিয়া ব্যবসায়ী মো. কাউছার বলনে, আমি একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। ঈদ আসলে ৫/৬ দিনের জন্য এই ব্যবসা করি। ঈদের দুই এক দিন আগে খাটিয়া বেচাকেনা জমে উঠে। ৫ দিনে ১০০ থেকে ১৫০ টি খাটিয়া বিক্রি করতে পারি। আর শহরে তো দোকানের অভাব নাই। যে যেখান থেকে পারে কিনতেছে। সবাই এভাবে বিক্রি করছে।
বালুতুপার ব্যবসায়ী নাছির বলেন, আমি হচ্ছি সিজনাল ব্যবসায়ী। আমি সারা বছর অন্য কাজ করি শুধু কোরবানির ঈদ আসলে খাটিয়া, হুগলা, খাড়ি বিক্রি করি। এটা হচ্ছে কয়েকদিনের ব্যবসা। কয়েকদিনে মোটামোটি ভালো বেচাকেনা হয়।
আবদুর রহিম নামের এক ক্রেতা বলেন, কোরবানির দিন মানুষের ব্যস্ততা অনেক বেশি থাকে। সকালে নামাজ পড়েই পশু কোরবানি দেওয়ার মনোযোগ দিতে হয়। সে পশুর মাংস কাটাকাটি করতে দা, ছুরি, চাকু যেমন প্রয়োজন তেমনি খাটিয়াও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগেভাগেই খাটিয়া সংগ্রহ করে রাখছি।
মিজানুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, খাটিয়া প্রতি বছরেই কিনতে হয়। কোরবানির সময় এই খাটিয়ার গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যায়। গ্রামে দেখা যায় একজনের খাটিয়া আরেকজন ব্যবহার করতে পারে কিন্তু শহরে সেটা হয় না। এজন্য সবারই খাটিয়া কিনা লাগে।