গ্রামপুলিশে চাকরির প্রলোভন, লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেন বিএনপি নেতা

লক্ষীপুর প্রতিনিধি ।।
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

লক্ষ্মীপুরে গ্রামপুলিশে চাকরি দেবে বলে এক রিকশাচালকের ছেলের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন মানিকের বিরুদ্ধে।

শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী হাফিজ উল্লাহ। এ সময় তিনি কান্নায়জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মানিক দেড় লাখ টাকা নিয়েছে অথচ আমার চাকরি হয়নি।’

ভুক্তভোগী হাফিজ উল্লাহ ঐ ইউনিয়নের নলডগি গ্রামের রিকশাচালক সেকান্তর মিয়ার ছেলে।

হাফিজ উল্লাহ বলেন, ‘তিনি আমাকে গ্রামপুলিশের (চৌকিদার) চাকরি দেবে বলে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করেন। তার কথায় আমি দেড় লাখ টাকা দিয়েছি। একইসঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে চাকরি দেননি। আজ জানতে পারলাম তিনি আমার আবেদনই করেননি। আমি এ অনিয়মের নিয়োগ বাতিল চাই। আমার টাকা ফেরত চাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার বাবার অটোরিকশা, গরু বিক্রি এবং ঋণ নিয়ে চেয়ারম্যানকে টাকাগুলো দিয়েছি। এখন আমার চাকরি হয়নি। আমি বাড়িতে যাবো কীভাবে? এলাকায় গেলে ঋণের টাকার জন্য মানুষ চাপ দেবে। কীভাবে তাদের টাকা দেবো?’

এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মানিককে পাওয়া যায়নি।

তবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া অন্য কোনো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের গ্রামপুলিশের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৬ জনের বিপরীতে পরীক্ষায় ৪৩ জন অংশ নেন।