নাঙ্গলকোটে পালিয়ে বিয়ে, বাড়িঘর ভাংচুর ও পুকুরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ

 নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি ।। 
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে বিয়ে করার প্রতিশোধ নিতে বরের বাড়ি ঘরে হামলা, থানায় অপহরণ মামলা ও বিষ প্রয়োগ করে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে কনের পিতা উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের চাঁন্দপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম টিপু ও চাচা ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ভূক্তভোগীরা বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের মৃত মুন্সি মিয়ার ছেলে রবিউল (২৩) ও একই গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে বিবি মরিয়ম (১৮) পালিয়ে গিয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসে কোর্ট এফিডেভিডের মাধ্যমে ও পরে কাজী অফিসে গিয়ে রেজিষ্ট্রি করে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি জানার পর বিবি মরিয়রের বাবা জাহাঙ্গীর আলম টিপু বাদি হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় বর রবিউল হোসেন, তার ভাই আমির হোসেন, মোস্তফা ও বোন তাজনেহার বেগমকে আসামি করা হয়।
মামলার পর গত ১১ আগষ্ট বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে বরের বড় ভাই মোস্তফাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ ও করেন বরের পরিবার। আটকের ২দিন পর আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয় মোস্তফা। এদিকে, মামলার আসামি হয়ে বরের পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকায় গত সোমবার রাতে কনের পিতা জাহাঙ্গীর আলম টিপু ও চাচা ইসমাইল হোসেন ৭/৮জন লোক নিয়ে বর রবিউলের বাড়ী ঘর ভাংচুর ও পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় এক লাখ টাকার মাছ নিধন করছে বলে অভিযোগ করেন আমির হোসেন।

বরের ডুবাই প্রবাসী ভাই আমীর হোসেন বলেন, প্রেম করে আমার ভাই রবিউলের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছে আমাদের গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম টিপুর মেয়ে বিবি মরিয়ম। এ ব্যাপারে আমরা পরিবারের অন্য কেউ কিছুই জানিনা। তারা দু’জন পালিয়ে যাওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলম টিপু ও তার ভাই ইসমাইল হোসেন দফায়-দফায় আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা, আমাদেরকে হত্যার হুমকি, আমাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ নিধন করে ফেলে। আমরা এ ঘটনায় তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ ও আমাদের জীবনের নিরাপত্তা দাবি করছি।

মেয়ের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের সাথে আমরা জড়িত নই। তাদের ছেলে আমার ১৩ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় একটা অপহরণ মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।