নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের দর্জিরা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

মেশিনের অবিরত ঘড়ঘড় শব্দে মুখরিত দর্জিপাড়া। নির্ঘুম রাতদিন কাটাচ্ছেন দর্জি কারিগররা। কথা বলা কিংবা শোনার সময় নেই কারো। নির্দিষ্ট সময়ে ডেলিভারি দিতে হবে অর্ডারকৃত জামা।

এমন অবস্থা বিরাজ করছে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের দর্জিপাড়া। বাজারে তৈরিকৃত জামা কাপড়ের বাইরে ভিন্ন স্টাইলে পছন্দ ও পরিমাপ মতো জামা সেলাই করতে ভিড় জমাচ্ছেন সব বয়সি নারী-পুরুষ। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরিতে মেতে উঠেছেন তারা। তবে এরিমধ্যে সব ধরনের অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, রমজানের শুরু থেকেই অর্ডার নেয়া শুরু হয়। রমজানে ৫ম দিন সব অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, শবে বরাতের পর থেকে শুরু হয়েছে অর্ডার নেয়ার কাজ। এই কাজ চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। আর তাই দম ফেলার সময় নেই দর্জি কারিগরদের। কর্মব্যস্ত নারী-পুরুষ একের পর এক সেলাই করে চলেছেন নতুন পোশাক। ঈদ সামনে রেখে ধনী-গরিব সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাদের নতুন পোশাকের সন্ধানে। আর তাদের চাহিদা যোগান দিতে গিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দর্জিরা। ফ্যাশন সচেতন নারী-পুরুষ ভিড় জমাচ্ছেন নামীদামি দর্জিগুলোতে। কাজের চাপে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন দর্জিরা।

ক্রেতারা জানান, পোশাকের ফিটিংয়ের জন্য এখানে আসা হয়। রেডিমেড পোশাক ক্রয় করলেও অনেককে ফিটিংয়ের জন্য দর্জির কাছে আসা লাগে। যেকোনো ডিজাইন দিলে সেই অনুযায়ী কাজ করে দিতে পারে।

দর্জিরা বলছেন, শবে বরাতের পর থেকেই শুরু হয়েছে ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের আনাগোনা। দিন গড়াতেই তাদের চাপ আরো বাড়ে। ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে ৪০০-৪৫০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে থ্রি-পিসের মজুরি।

পৌর সুপার মার্কেট দর্জি কারিগর ইয়াসিন বলেন, রমজানে ৫ম দিন সব অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। তবে বিশেষ কিছু ব্যক্তির জন্য অর্ডার নেই। সেই অর্ডার নিতে গিয়ে অন্তত আরো ১০০ অর্ডার নিতে হয়েছে। তাই সেটিও বন্ধ করে দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমার লোকবল মোট ১৫ জন। সবাই এখন ব্যস্ত। শুধু নামাজের সময় আর ইফতারের সময় পাই। এছাড়া সকাল থেকে শুরু করে রাত ২টা পর্যন্ত চলে সেলাইয়ের কাজ। ঈদের আগেই সব ক্রেতাদের অর্ডারের পোশাকটি সরবরাহ করতে হবে। তাই দিনরাত সমানতালে চলছে দর্জিদের সেলাই মেশিন।