ব্রিটেনিয়া ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. জাহিদের বেতন বন্ধ, কক্ষে তালা, শোকজ

প্রতিকার চেয়ে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের 
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ years ago

ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব)  ও পরিচালক আইকিউএসি (IQAC) ছাড়াও বিষয় ভিত্তিক অধ্যাপনার কাজ সহ  গুরুত্বপুর্ণ চার দায়িত্বের অধিকারি ড. আনোয়ার জাহিদকে  কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া জুলাই মাসের বেতন বন্ধ, অতঃপর অফিস কক্ষে তালা (৮ অগাস্ট) ও শোকজ নোটিশ জারি করেছেন (১২ ও  ১৪ অগাস্ট) যথাক্রমে  সৈয়দ  এহসানুল হক. চেয়ারম্যান, বিওটি  ও ভিসি (ইনচার্জ) সুরজিৎ সর্ববিদ্যা।

২০১০ সালের  আইন ও বিধি বহির্ভুতভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া তাকে অপসারণ করার  ষড়যন্ত্র,চক্রান্ত ও  জীবননাশের হুমকির  কথা উল্লেখ করে গত  ২১শে অগাস্ট ২০২২ কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় নিয়মিত একটি অভিযোগ রুজু করেছেন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. আনোয়ার জাহিদ।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি আশু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস  দিয়েছেন।

ব্রিটেনিয়া ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. জাহিদের দায়েরকৃত মামলার বিবরণে প্রকাশ রেজিস্ট্রার ছুটিতে থাকা অবস্থায় কয়েকজন কর্মকর্তা/কর্মচারীর সামনে  শিহাব উদ্দিন আহমেদ, পিতা : মরহুম শফিউদ্দিন আহমেদ,  অফিসার (মাকেটিং) রেজিস্ট্রার কক্ষে তালা দিয়ে চাবিটি নিয়ে যান। চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সৈয়দ এহসানুল হক বছরের সিংহ ভাগ সময় লন্ডন বসবাসের  কারণে তার টেলিফোন বা ইমেইলকৃত নির্দেশ মোতাবেক তার দ্বারা এককভাবে মনোনীত ভিসি ইনচার্জ দায়িত্বপালন করেন। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ভিসি র বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন , অবৈধ পন্থায় পদোন্নতি ও ভুয়া যোগ্যতা দেখিয়ে ভিসি হিসেবে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্তির প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ।

জানাগেছে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ গোপনীয় ফাইলপত্র রেজিস্ট্রারের  কক্ষের দেয়ালের সাথে বানানো আলমিরাতে  এবং অফিস কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কম্পিটার অপারেটর জনাব সঞ্জয় দাস এর হেফাজতে রয়েছে  । এগুলোর তালাচাবি  তাদের  নিকট থাকলেও রেজিস্ট্রারের টেবিলের ড্রয়ার এবং কেবিনেটে রেজিস্ট্রারের  ব্যক্তিগত চেক বই, এনআইডি, টেক্স বিটার্ন, টিআইএন সহ ব্যক্তিগত মূল্যবান জিনিষপত্র এবং রেকে তার লিখিত বইয়ের পান্ডুলিপি এবং মূল্যবান বইপত্র ও ডকুমেন্টস বয়েছে যা  কারো দ্বারা ক্ষতিসাধন, খোয়া যাওয়া  ও বিনষ্ট হওয়ার ও সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠান ত্যাগের হিড়িক পড়েছে , অনেকেরই  বেতন, ভাতা  বকেয়া রয়েছে।  কয়েকটি পরীক্ষা গ্রহনে অনিশ্চয়তা  দেখা দিয়েছে।  ছাত্র-ছাত্রীরা এ পরিস্থিতিতে চরম হতাশায় নিমজ্জিত। যে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আইনশৃখলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

ব্রিটেনিয়া ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. জাহিদের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিধি বহিভূর্ত ভাবে আমাকে হয়রানী করা হচ্ছে। আমি এর দ্রুত প্রতিকার চাই।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ব্রিটেনিয়া ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সৈয়দ এহসানুল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।