কুমিল্লায় ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা চাইতে গিয়ে যুবক গ্রেপ্তার !

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৫ মাস আগে

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা চেয়েছিল এক যুবক। তবে সহায়তা না করে উল্টো ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ডাক বাংলো এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
গ্রেফতারকৃত যুবক দেবিদ্বার পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বানিয়াপাড়া এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে বাহাদুর হোসেন (৩০)।
জানা গেছে, সদর দক্ষিণ হলুদিয়া এলাকার ফারুক হোসেনের মেয়ে তানজিনা আক্তার (২২) এর সাথে ওই গ্রেফতারকৃত যুবক বাহাদুরের সাথে ৪ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে সংসারে নামে অশান্তি। স্বামী বাহাদুর বিদেশে যাবে বা ব্যবসা করবে বলে শশুরের থেকে ৫ লক্ষের অধিক টাকা নেন। এই টাকা চাইলে স্ত্রীকে বিভিন্ন শারিরিক নির্যাতন করা হয়। পরে ওই টাকা না দেয়াই স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী তানজিনা লালমাই থানায় গত ১০-০২-২০২১ জালিয়াতি মামলা দায়ের করেন। এমতাবস্থায় স্ত্রী আবার ভালোবাসার টানে সদর দক্ষিণ বাংলো এলাকায় স্বামীকে নিয়ে সংসার করে যাচ্ছিল। তখন আবার স্ত্রীকে নির্যাতন করলে শশুর ফারুক মেয়ের বাসায় আসলে যুবক ভয়ে ৯৯৯ এ কল দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে এই যুবক ওয়ারেন্টের আসামি। পরে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করে দেবিদ্বার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে ওই যুবক বাহাদুর বলেন, আমি ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহায়তা চাইলে পুলিশ আমার বাসায় আসে। আসার পর যখন তারা জানতে পারছে আমার স্ত্রীর আগের একটি মামলায় ওয়ারেন্ট বের হয়েছে। তখন পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী তানজিনা বলেন, আমার স্বামী বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছে আমাকে। পরে আবার সে ঠিক হয়ে যায়। এমন অবস্থায় সে আমার বাবার কাছ থেকে অনেক টাকা নেয়। এ টাকা গুলো না দেয়াই আমি দেবিদ্বার থানায় মামলা করি। এ মামলায় আমার স্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি তদন্ত খাদেমুল বাহার বলেন, ওনার নামে একটি মামলা থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গ্রেফতারের পর দেবিদ্বার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত পুলিশ অফিসার মশিউর বলেন, আসামি আমাদেরকে নিকট দেওয়ার পর আমরা আসমিকে আদালতে সোপর্দ করেছি।