তিন শিক্ষার্থী হলেন- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্রী, ফয়জুন্নেসা হলের বাসিন্দা কানিজ ফারহানা বাতুল, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক ছাত্রী ও ফয়জুন্নেসা হলের বাসিন্দা আরজিনা আক্তার চম্পা ও সালমা আক্তার।
২০১৬ সালের ২৭ জুলাই মধ্যরাতে কলেজের নবাব ফয়জুন্নেসা হল থেকে তিন ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ। পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাদের নামে মামলা হয়। ২৮ জুলাই তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্রী কানিজ ফারহানা বাতুল বলেন, ডা. জাকির নায়েকের লেকচার সমগ্র ও ইসলামী বই পড়ার অপরাধে জঙ্গি নাটক সাজিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। হলের ম্যাডাম ও কলেজের শিক্ষকরা, পুলিশ ডেকে এনে তিনজনের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। আট বছর ধরে হয়রানির শিকার হয়েছি আমরা। সরকারি চাকরিতে যোগদান না করতে দেওয়া, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা। অথচ আমাদের কাছে সাধারণ বই ছিল। এগুলো বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে আছে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিচার চাই।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক ছাত্রী ও ফয়জুন্নেসা হলের বাসিন্দা আরজিনা আক্তার বলেন, হলের তৎকালীন প্রভোস্ট অধ্যাপক মিতা সাফিনাজ, সহকারী প্রভোস্ট নিলুফার সুলতানা, সহকারী প্রভোস্ট তোফায়েল আহমেদ, অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রশিদ, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তাহের এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক প্রফেসর জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী, পুলিশসহ অনেকে এ হয়রানি সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিচার চাই। আমাদের বিনা কারণে জঙ্গি সাজিয়েছে। মিতা সাফিনাজ, নিলুফার সুলতানা ম্যাম আমাদের আসবাব ভাঙচুর করেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের আটক করিয়েছেন।
তিনি বলেন, এত বছর আমরা কিছুই বলতে পারিনি। এখন সময় এসেছে আমাদের প্রতিবাদের তাই বিচার চাইতে এসেছি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, এই বিষয়ে জেনেছি। এটি তদন্তের বিষয়। বিষয়টি আমরা দেখবো।