বিচারের আশ^াস পেয়ে কুমিল্লায় হিজাব কেটে দেওয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

শাহাজাদা এমরান ।।
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

কুমিল্লার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের তিন শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দেয়ার অভিযোগ সমালোচিত শিক্ষক মিরন নাহারের অপসারনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত আজ বৃহস্পতিবার সকাল আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুরে কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানম ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে এসে দায়ি শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিচারের আশ^াস দিলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যায় এবং তাদের আন্দোলন স্থগিত করে।

জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারী নার্সিং কলেজের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দিয়েছে নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা মিরন নাহার। পরে, শিক্ষার্থীদেরকে হিজাব কেটে ছোট করে পড়ার কথা বললে শিক্ষার্থীরা এতে দ্বিমত পোষণ করেন। কিন্তু, ওই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের কোনো কথার তোয়াক্কা না করেই বারবার হিজাব কাটার কথা বলেন ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন।

আরেক শিক্ষার্থী মৌরী রহমান বলেন, আমাদের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় বর্ষ এবং তৃতীয় বর্ষ শিক্ষার্থীদের কে বেল্ট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তাই আমরা মেয়েরা যারা হিজাব বড় করে পড়ি তাদের বেল্ট দেখা যায় না। তাই আমাদের হিজাব কেটে দেওয়া হয়েছে। আমি বলব বেল্ট দ্বারাই কেন চিহ্নিত করতে হবে, অন্য কোন উপায়ও তো এটা করা যায়। আমি আমাদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই। মেয়েরা যাতে শালীনভাবে চলাফেরা করতে পারে এটা চাই।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা দায়ী শিক্ষকের অপসারনের দাবীতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাস উত্তাল করে তুলে।
পরে কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানম অভিযুক্ত শিক্ষক মিরন নাহারকে সাথে নিয়ে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে এসে ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করে বলেন, তোমাদের আন্দোলনের সাথে আমরা একমত। আমরা লিখিত আকারে ঢাকায় আমাদের প্রধান অফিসে পাঠিয়েছি। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তোমরা উপযুক্ত বিচার পাবা। ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ এর এই আশ^াস পেয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যান।
এ দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মিরন নাহার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে গিয়ে তিনি অজ্ঞান হয়েূ পড়ে যান।