সাংবাদিক রমিজ খান : বড্ড অভিমান নিয়েই চলে গেলেন

শাহাজাদা এমরান ।।
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

শিল্পী চম্পা দাসের একটি অসাধারণ গান রয়েছে। চাঁদেরও কলঙ্ক আছে,গোলাপ ভরা কাঁটায়,সাগর চলে নোনা জলে,মোহনার জ¦ালায়- অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাকের সৃষ্টিকুলে আমরা কেউ ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে না। মানুষ মাত্রই ভুল করবে। দোষে – গুণেই মানুষ। যারা ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে তারা কখনো মানুষ না, তারা ফেরেস্তা। আমাদের সবার প্রিয় সাংবাদিক ও কুমিল্লা শহরের অত্যান্ত পরিচিত মুখ সদ্য প্রয়াত রমিজ খানও একজন আপাদমস্তক মানুষ। এবং মানুষ বলেই তিনি অসংখ্য ভালো কাজের ভিতর থেকেও ক্ষেত্র বিশেষ ভুলও করতে পারেন। এই ধরনের স্মরণ লেখায় সবাই প্রয়াত ব্যক্তির প্রশংসায় পঞ্চুমুখ থাকেন। মনে হয় জাগতিক জীবনে তিনি কোন ভুল করেননি। তাকে আমরা মানুষের উর্ধ্বে নিয়ে যাই। যা অনেক সময় বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়। সাংবাদিক,সংগঠক,ছড়াকার ও আজন্ম লড়াকু সাংবাদিক রমিজ ভাই ছিলেন এক ব্যতিক্রমধমী ভালো মানুষ। তাই তার বর্ণাঢ্য সংগ্রামী জীবনের নানা ইতিবাচক ঘটনার সাথে প্রাসঙ্গিক ক্ষুদ্র একটি নেতিবাচক কথা ব্যতিক্রমভাবে উপস্থাপন করে প্রমাণ করতে চাই, আমাাদের রমিজ ভাই সত্যিকার অর্থে দোষ গুণে একজন ভালো মানুষ ছিলেন। মহান আল্লাহ্ যেন ক্ষুদ্র দোষ গুলো ক্ষমা করে ভালো গুণ গুলোর জন্য তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।
রমিজ খান। একজন সফল সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ছড়াকার, সংগঠক ও সাংস্কৃতিক কর্মীর নাম।সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের। জীবনের শেষ কয়েক বছর মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও ঢাকায় জাতীয় পর্যায়েও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজন করেছেন বড় বড় সেমিনার।
নগর কুমিল্লার অত্যন্ত এই পরিচিত মুখটি গত ১৫এপ্রিল রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না-লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,দুই কণ্যা রেখে গেছেন। সোমবার(১৬ এপ্রিল) সকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে প্রথম নামাজে জানাযা ও বাদ জোহর নগরীর চর্থায় দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে হালের বড্ড অভিমানী এই সাংবাদিক নেতাকে টমছমব্রিজ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রমিজ ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয় ১৯৯৪ সালে কুমিল্লা বিতর্ক পরিষদ করতে গিয়ে। তখন সবেমাত্র পা রাখা গণমাধ্যমের একজন অনুল্লেখযোগ্য কর্মী আমি। সাংবাদিক শাহাজাদা এমরানের চেয়ে কুমিল্লা বিতর্ক পরিষদের শাহাজাদার পরিচয় ছিল ব্যাপক। কিন্তু যখন বিতর্ক পরিষদের শাহাজাদার চেয়ে সাংবাদিক শাহাজাদা এমরানের পরিচয় শহর কুমিল্লায় প্রধান হয়ে উঠল, ঠিক তখন থেকেই রমিজ ভাইয়ের সাথে আমার দূরত্ব বাড়তে থাকে। কারণ আমার সাংবাদিকতা যেখান থেকে শুরু ঠিক রমিজ ভাইয়ের অবস্থান ছিল তার ১৮০ ডিগ্রি বিপরীত। তাই রমিজ ভাইয়ের সাথে কখনও সাংবাদিকতা কিংবা সাংগঠনিক কোন কাজেই আমার খুব বেশি সখ্যতা ছিল না। শুধু হাই হ্যালো ছিল। এই হাই হ্যালোও নষ্ট হয়ে যায়, যখন তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কুমিল্লা বার্তার প্রয়াত সম্পাদক অধ্যক্ষ মফিজ ভাইকে সাথে নিয়ে প্রেসক্লাব দখল করেন।২০১৫ সালের পর যখন রমিজ ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্ক গাঢ় হয়,তখন তাকে আমি প্রায়ই বলতাম, আজ যে কুমিল্লার সাংবাদিকদের এই অবস্থা, এর জন্য আপনি দায়ী। এর পরিপ্রেক্ষিতে রমিজ ভাই একদিন আমাদের কুমিল্লা অফিসে এসে আমাকে বিস্তারিত জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচনের পর তোমাদের অনেক নেতা বার বার আমাকে চাপ দিচ্ছিল , আমি যেন দ্রুত প্রেস ক্লাব দখল করি। যাতে বাবুল ভাই ও সেলিম চেয়ারে না বসতে পারে। এমনিতেই নির্বাচনে খারাপ করছি,তার উপর দল ক্ষমতায় আবার তোমাদের নেতারা তলে তলে আমাদের উস্কানি দিচ্ছিল। আবার তোমাদের নেতারা যে কয়েকজনকে মেম্বার করেনি, তাদেরও চাপ ছিল। তাই ঐ পরিস্থিতিতে প্রেস ক্লাবে যাওয়া ছাড়া আমার উপায় ছিল না। এরজন্য আমি দায়ি হলেও তোমাদের এই এই নেতারাও দায়ি(কৌশলগত কারণে ঐ নেতাদের নাম লিখলাম না)।
রমিজ ভাই যখন আমাদের নির্বাচিত কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল ভাই ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম ভাইকে জোরপূর্বক হটিয়ে প্রেস ক্লাবের দায়িত্ব নেন তখন নিউনেশন আর অনিয়মিত স্থানীয় দৈনিক কুমিল্লা বার্তা ছাড়া তাদের আর কোন পত্রিকা ছিল না।
আমাকেসহ কোন ভাবেই মূল ধারার কোন সাংবাদিকদের তিনি নিতে পারেননি। তখন আমি দৈনিক দিনকালের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি। জাতীয় ও স্থানীয় কোন দৈনিক না থাকায় দিন দিন প্রশ্নবিদ্ধ হতে থাকেন রমিজ ভাইয়েরা। এক পর্যায়ে আমাকে প্রেস ক্লাবে নেয়ার জন্য তৎকালীন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আকবর হোসেন ভাইয়ের মাধ্যমে সম্পাদক কাজী সিরাজ ভাইয়ের শরণাপন্ন হন।বলেন, আমি বিএনপির পত্রিকায় কাজ করে আওয়ামী লীগের সাংবাদিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। একথা শুনে সিরাজ ভাই আমাকে অফিসে ডাকলেন। সম্পাদক মহোদয়ের জরুরি তলব শুনে বাকীন ভাই ও সৈয়দ নুরু ভাইয়ের সাথে কথা বলে ঢাকা গেলাম।
সম্পাদক কাজী সিরাজ ভাই প্রথমে আমার কাছে বিস্তারিত জানলেন এবং মন্ত্রী আকবর ভাই ফোন করে বলেছে, আমি যেন রমিজদের সাথে চলি সেই কথাও জানালেন। আমার চোখের পানি টলমল করছে। দিনকাল সম্পাদক পরম শ্রদ্বেয় সিরাজ ভাই আমাকে বললেন, তুমি কি চাও বল,যেহেতু মন্ত্রী ফোন করেছে সেহেতু দিনকালে থাকতে হলে রমিজদের সাথে চলতে হবে। বল এমরান?
আমি দৃঢ়তার সাথে বললাম, স্যার, আমি জীবনে কোন ছাত্র সংগঠন করিনি। আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি করি না।এমনকি আমার পরিবারের কেউ রাজনীতি করে না।আমি সাংবাদিকতা করতে চাই। কুমিল্লার সন্তান হিসেবে খোঁজ নিয়ে জানবেন রমিজ ভাইয়ের গ্রুপে তিনি ছাড়া আর কোন সাংবাদিক নেই। দল ভারি করার জন্য তিনি অপ-সাংবাদিকদের সাংবাদিক করছেন। স্যার, আমার বিশ্বাস, আপনি আমাকে সুযোগ দিলে আমি সাংবাদিকতায় ভালো করবো। এ কথা বলার সময় চোখের পানি চলে এলো আমার। সাথে সাথে সিরাজ ভাই বললেন, তুমি তোমার মতো থাক।আকবর ভাইয়ের বিষয়টা আমি দেখব।এরপর থেকে টানা সাত বছর রমিজ ভাইয়ের সাথে আমি কথা বলিনি। এ সময় অনেকেই রমিজ ভাইয়ের সাথে হাত মিলিয়ে মেম্বারশীপ নিয়েছেন,প্রেসক্লাবে নির্বাচন করেছেন,আবার রমিজ ভাইয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও করেছেন।কিন্তু আল্লাহর রহমতে হলফ করে বলতে পারি, শাহজাদা এমরান কখনো তার আদর্শ থেকে বিচুত্য হয়নি।আমি বলেছি, একটি নির্বাচিত কমিটিকে হটিয়ে যারা প্রেস ক্লাব দখল করেছে, তাদের নেতৃত্বে থাকা প্রেস ক্লাবে আমি যাব না, শেষ পর্যন্ত যাইনি। রমিজ ভাইদের হটিয়ে ২০০৯ সালে যখন ঐক্যবদ্ধ প্রেসক্লাবের আমাকে অর্থ সম্পাদক করা হয় , তখন প্রথম আমাকে যে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছিল সেই ব্যক্তি হলেন রমিজ ভাই। এরপর থেকে আস্ত আস্তে রমিজ ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ভালো হতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি তার সাংগঠনিক যোগ্যতা দিয়ে আমাকে বড় আপন করে নেন। গত ৫ বছরে তিনি কুমিল্লা আসছেন আর আমাদের কুমিল্লা অফিসে আসেননি এমন ঘটনা ছিল বিরল। বিশেষ করে গত কয়েক বছর কুমিল্লার সাংবাদিকতা নিয়ে তিনি আমার সাথে অনেক অনেক কথা বলেছেন। যদি আর একবার কাজ করার সুযোগ পান তাহলে কি করবেন তাও জানিয়েছিলেন।
শেষ দুই বছর তিনি বেশ অভিমানী হয়ে উঠেছিলেন। সুযোগ পেলেই নাম ধরে ধরে বলতেন, আমার কারণে ওরা আজ সাংবাদিক, সাংবাদিক নেতা। সেদিন যদি নানা চাপে আমি প্রেসক্লাবের দায়িত্ব না নিতাম,তাহলে তারা আজ মূলধারার গণমাধ্যমও পায় না, সাংবাদিক নেতাও হয় না। অথচ নেতা হয়ে তারা ভুলেই গেল তাদের স্রষ্টাকে।এক সময় আমার পরিচয়ে বেড়ে উঠা এই মানুষগুলো শুধু যে আমাকে ভুলছে তা নয়, তাদের নেতা হতে সাহায্যকারীদেরও ভুলে গেছে তারা।
গত অক্টোবর মাসে জাতীয় প্রেসক্লাবে চলমান রাজনীতির অস্থিরতা নিয়ে একটি সেমিনার হয় রমিজ ভাইয়ের সভাপতিত্বে।প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ড.মঈন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশ বরেণ্য কয়েকজন অতিথি। কুমিল্লা থেকে আমাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানান এবং মঞ্চে আসন দেন।সেদিন তিনি আমাকে খুব গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সভাপতির বক্তব্য রাখার সময় আমার বক্তৃতার প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছিলেন, কুমিল্লার মাথা নত না করা সাংবাদিকদের অন্যতম প্রধান সাংবাদিক বান্ধব নেতা শাহাজাদা এমরান। এ প্রশংসা শুনে সেদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমি কিছুটা লজ্জ্বিতও হয়েছিলাম। রমিজ ভাই আসলে যথাযথ ব্যক্তিকে যথাযথ সম্মান দিতে কখনো ভুল করেননি।
এরপর প্রায় ১৫দিন পর তিনি কুমিল্লা এসে আমার অফিসে আসেন।কথা বলার এক পর্যায়ে কিছুটা আবেগ তাড়িত হয়ে বললেন,কুমিল্লার বর্তমানে এমন অসংখ্য সাংবাদিক বা বড় বড় সাংবাদিক নেতা আছেন আমি রমিজ খান না থাকলে তাদের তোমরা আজও কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের মেম্বারশিপও দিতা না তাদের।অথচ আজ তারা আমাকে তো ভুলছে ভুলছেই।কিন্তু যারা দাপিয়ে বেড়ানো সাংবাদিক তাদেরও মনে রাখেনি ক্ষমতার মসনদে বসে। তাদের মসনদে বসার জন্য কি তোমার এই অফিস,তোমার ভুমিকা কম ছিল ? তুমি না বললেও আমি রমিজ জানি। আরো অনেক অব্যক্ত বেদনার কথা তিনি বললেন। এক পর্যায়ে চোখের পানি ফেলে দিয়ে বললেন, এমরান, সুযোগ পেলেই তুমি আমাকে খোঁচা দিয়ে বল, আপনার দখলের কারনেই আজ এই অবস্থা। তোমার কথাটা শত ভাগ মেনে না নিলেও আজ আমি শত ভাগ ফেলতে পারছি না। এই অপরাধবোধ ইদানিং আমার মধ্যে কাজ করছে, কাদের সাথে নিয়ে আমি রমিজ পথ চললাম এত দিন ?
রমিজ ভাইয়ের কথা গুলো শুনে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলো আমার। সাথে সাথে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল ভাইয়ের বাসায় গিয়ে বিস্তারিত বললাম। এমনকি এও বললাম, জাগতিক স্রষ্টকে ভুললে কিন্তু আসল স্রষ্টাও একদিন মুখ ফিরিয়ে নিবে। রমিজ ভাইয়ের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দুলাল ভাই অনেক কিছু বললেন।
লেখাটি শেষ করতে চাই কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এড.সৈয়দ নুরুর রহমানের একটি উক্তি দিয়ে। নুরু ভাই একদিন আমাকে বলেছিলেন, শাহাজাদা এমরান, তোমরা যে আমাকে নেতা বানানোর কারিগড় বলো, বা সংগঠকদের সংগঠক বলো, জানো, আমি সৈয়দ নুরু কার সৃষ্টি ? বিস্ময়ে বললাম, ভাই কার ? তিনি বললেন, আমি রমিজ খানের সৃষ্টি। তার হাত ধরেই আমি উষসী পরিষদে যোগ দেই।
আসলে রমিজ ভাইকে হারিয়ে বুঝলাম, তার সাংগঠনিক সৃষ্টি শুধু নুরু ভাই না। কুমিল্লার অনেক বড় বড় সংগঠক আছেন যারা রমিজ ভাইয়ের হাত ধরেই সংগঠক হয়েছেন। হয়তো কুলষিত রাজনৈতিক কারণে অনেকেই তা স্বীকার করবেন না।
সত্যিই একজন অসাধারণ সাংগঠনিক ব্যক্তি ছিলেন রমিজ খান। তিনি যে কোন মুহুর্তে যে কোন পরিবেশে একটি সংগঠনকে দাঁড় করাতে পারতেন। সংগঠনের কর্মীদের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই শহরে রমিজ খানের ভূমিকা ছিল অনন্য।
শেষ বেলায় এসে বড্ড অভিমানী হয়ে উঠছিলেন তাঁরই ঘনিষ্টসহচরদের কারণে। অভিমান নিয়েই শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন তিনি। ওপারে ভালো থাকবেন আমাদের সবার প্রিয় রমিজ ভাই। মহান আল্লাহ্ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক, এই দোয়া ছাড়া আমাাদের আর কি বা করার আছে।
লেখক : সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, কুমিল্লা জেলা।